পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় কী? ৮টি গুরুত্বপূর্ণ চেকলিস্ট!

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় কী ৮টি গুরুত্বপূর্ণ চেকলিস্ট!

বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতি আমাদের জীবনকে সহজ এবং সাশ্রয়ী করে তুলেছে। ল্যাপটপ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে, তবে নতুন ল্যাপটপ কেনা অনেক সময় অত্যধিক ব্যয়বহুল হতে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশে, যেখানে নতুন ল্যাপটপের দাম অনেক বেশি। তাই পুরাতন ল্যাপটপ কেনার চিন্তাভাবনা অনেকের জন্য একটি আদর্শ বিকল্প হতে পারে। তবে, পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখা উচিত। আজকে আমরা জানবো বাংলাদেশে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয়  কী? এবং কী কী বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে, অবশ্যই আপনার উপকারে আসবে। 

কেন পুরাতন ল্যাপটপ কেনার কথা ভাববেন?

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় বিষয়গুলো জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কেনার অনেক সুবিধা রয়েছে, বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে:

  • খরচ সাশ্রয়ী: বাংলাদেশে নতুন ল্যাপটপের দাম সাধারণত ৫০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। অথচ, পুরাতন ল্যাপটপের দাম ২০,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে, যা আপনার বাজেটের সঙ্গে বেশি মানানসই হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকার অভিজাত এলাকায় পুরাতন ল্যাপটপের বাজারে ভালো মডেলগুলো পাওয়া যায় সাশ্রয়ী দামে।
  • পরীক্ষিত পারফরম্যান্স: পুরাতন ল্যাপটপের পারফরম্যান্স সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। ঢাকার ধানমন্ডি, উত্তরা বা চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ও নিউ মার্কেট এলাকায় গেলে আপনি স্থানীয় ব্যবহারকারীদের রিভিউ এবং ল্যাপটপের পারফরম্যান্স সম্পর্কে জানতে পারবেন। এর ফলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন, ল্যাপটপটি আপনার প্রয়োজনের জন্য উপযুক্ত কি না।
  • পরিবেশগত প্রভাব: পুরাতন ল্যাপটপ কেনার মাধ্যমে আপনি ইলেকট্রনিক বর্জ্য কমাতে সাহায্য করতে পারেন। বাংলাদেশে অনেক প্রতিষ্ঠান এবং বাজার পুরাতন প্রযুক্তি পুনর্ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেয়, যা পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক।

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় কী? ৮টি গুরুত্বপূর্ণ চেকলিস্ট!

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে কী কী করণীয়_ ৮টি গুরুত্বপূর্ণ চেকলিস্ট!

বাংলাদেশে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি খেয়াল রাখা উচিত:

১. পুরাতন ল্যাপটপের বাহ্যিক অবস্থা পরীক্ষা করুন

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার প্রথম ধাপ হচ্ছে তার বাহ্যিক অবস্থা পরীক্ষা করা। স্ক্রিন, কীবোর্ড, ট্র্যাকপ্যাড, এবং বডির অবস্থা ভালোভাবে দেখে নিন।

  • স্ক্রিনের অবস্থা: স্ক্রিনে কোনো দাগ, স্ক্র্যাচ বা ডেড পিক্সেল আছে কিনা তা খেয়াল করুন। স্ক্রিনের রং সঠিকভাবে প্রদর্শিত হচ্ছে কিনা, এবং ব্রাইটনেস সমানভাবে ছড়িয়ে আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন। ঢাকার একজন ক্রেতা বলেন, আমি যখন পুরাতন ল্যাপটপ কিনেছিলাম, স্ক্রীনে কিছু দাগ ছিল, কিন্তু দাম কম হওয়ায় আমি কিনেছিলাম।
  • বডির অবস্থা: ল্যাপটপের বডি এবং কভার চেক করুন। কোনো ধরনের ভাঙা বা ফাটল আছে কিনা, তা লক্ষ্য করুন। বিশেষ করে কোণ এবং হিঞ্জের দিকে খেয়াল রাখুন কারণ এগুলো খুব দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

২. হার্ডওয়্যার এবং স্পেসিফিকেশন

  • প্রসেসর এবং RAM: ল্যাপটপের প্রসেসর এবং RAM চেক করুন। প্রসেসর যদি খুব পুরানো হয় তবে এটি দ্রুত কাজ নাও করতে পারে। RAM কম হলে ল্যাপটপ স্লো হবে। বাংলাদেশে সাধারণত Core i5 বা তার সমমানের প্রসেসর এবং কমপক্ষে ৮GB RAM-এর ল্যাপটপ কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়।
  • স্টোরেজ ক্ষমতা: ল্যাপটপের স্টোরেজ ক্ষমতা যাচাই করুন। যদি সম্ভব হয়, SSD স্টোরেজের ল্যাপটপ কিনুন কারণ এটি দ্রুত কাজ করে। পুরাতন ল্যাপটপের ক্ষেত্রে HDD চেক করে নিন, এবং যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ভবিষ্যতে SSD-তে আপগ্রেড করার পরিকল্পনা রাখুন। একটি সার্ভিস সেন্টারের টেকনিশিয়ান বলেন, “HDD পুরাতন ল্যাপটপের ক্ষেত্রে স্টোরেজ স্পিড কম হতে পারে। তাই SSD ল্যাপটপে আপগ্রেড করা ভালো।”

৩. ব্যাটারির অবস্থা পরীক্ষা করুন

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময় ব্যাটারির অবস্থা যাচাই করা অপরিহার্য।

  • ব্যাটারি লাইফ: ব্যাটারির স্বাস্থ্য এবং চার্জ ধারণ করার ক্ষমতা চেক করুন। ল্যাপটপটি চালু করে কিছুক্ষণ ব্যবহার করে দেখুন ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ হচ্ছে কিনা। ঢাকার একজন অভিজ্ঞ ব্যবহারকারী জানান, “আমি একটি পুরাতন ল্যাপটপ কিনেছিলাম যার ব্যাটারি মাত্র ৩০ মিনিট টিকতো। পরে আমাকে নতুন ব্যাটারি কিনতে হয়েছিল।”
  • চার্জিং পোর্ট: চার্জিং পোর্ট ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তা যাচাই করুন। এটি দুর্বল বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ব্যাটারি সঠিকভাবে চার্জ হবে না।

৪. পুরাতন ল্যাপটপের অপারেটিং সিস্টেম এবং সফটওয়্যার

ল্যাপটপের অপারেটিং সিস্টেম এবং সফটওয়্যার পরীক্ষা করা উচিত।

  • অপারেটিং সিস্টেম আপডেট: ল্যাপটপে ইনস্টল করা অপারেটিং সিস্টেমটি আপডেট আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। পুরাতন অপারেটিং সিস্টেম থাকলে অনেক সফটওয়্যার চলতে পারে না।
  • সফটওয়্যার লাইসেন্স: ল্যাপটপে যদি কোনো প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকে তবে তার লাইসেন্স চেক করুন। অনেক সময় পুরাতন ল্যাপটপে পাইরেটেড সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকতে পারে যা নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

৫. পোর্ট এবং কানেক্টিভিটি পরীক্ষা

পুরাতন ল্যাপটপের পোর্ট এবং কানেক্টিভিটি পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।

  • USB এবং HDMI পোর্ট: সব পোর্ট সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা যাচাই করুন। USB পোর্টে ড্রাইভ সংযোগ দিয়ে এবং HDMI পোর্টে মনিটর সংযোগ দিয়ে পরীক্ষা করুন।
  • ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ: ল্যাপটপের ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। স্থানীয় এক ক্রেতা বলেন, “আমি একটি ল্যাপটপ কিনেছিলাম যার ওয়াইফাই মডিউল কাজ করছিল না, ফলে আমাকে অতিরিক্ত ওয়াইফাই অ্যাডাপ্টার কিনতে হয়েছিল।”

৬. ল্যাপটপের পূর্বের ব্যবহার এবং সার্ভিস হিস্টোরি

ল্যাপটপের পূর্বের ব্যবহার এবং সার্ভিস হিস্টোরি জানার চেষ্টা করুন।

  • ব্যবহারকারীর ইতিহাস: পূর্বে ল্যাপটপটি কতটা ব্যবহৃত হয়েছে তা জানুন। এটি সাহায্য করবে ল্যাপটপের স্থায়িত্ব এবং কর্মক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা পেতে।
  • সার্ভিস হিস্টোরি: ল্যাপটপটি পূর্বে কোনো সার্ভিসিং বা মেরামত করা হয়েছে কিনা তা জানুন। এটি জানলে আপনি বুঝতে পারবেন ল্যাপটপের হার্ডওয়্যারের অবস্থা কী রকম।

৭. গ্যারান্টি এবং রিটার্ন পলিসি

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময় বিক্রেতার গ্যারান্টি এবং রিটার্ন পলিসি যাচাই করা জরুরি।

  • গ্যারান্টি: অনেক বিক্রেতা পুরাতন ল্যাপটপের জন্য সীমিত সময়ের গ্যারান্টি বা ওয়ারেন্টি প্রদান করে। এটি ল্যাপটপ কেনার পরে কোনো সমস্যা দেখা দিলে আপনাকে কিছুটা সুরক্ষা দেবে।
  • রিটার্ন পলিসি: রিটার্ন পলিসি সম্পর্কে জানুন। কোনো সমস্যা হলে ল্যাপটপটি ফেরত দিতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত করুন। এটি আপনার ক্রয়কে সুরক্ষিত করতে সাহায্য করবে।

৮. পুরাতন ল্যাপটপের মূল্য যাচাই করা এবং বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন

  • বাজারমূল্য যাচাই: পুরাতন ল্যাপটপের বাজারমূল্য যাচাই করুন। উদাহরণস্বরূপ, ধানমন্ডির মার্কেটে এক বছরের পুরাতন ল্যাপটপের দাম প্রায় ২৫% থেকে ৩০% কম থাকে নতুন ল্যাপটপের তুলনায়। সাধারণত Core i5 মডেলের পুরাতন ল্যাপটপের দাম ২৫,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়, যা আপনার বাজেটের জন্য সাশ্রয়ী হতে পারে। এটি আপনাকে সঠিক ধারণা দেবে এবং প্রয়োজনীয়তার সাথে মানানসই ল্যাপটপ বেছে নিতে সাহায্য করবে।
  • দাম তুলনা: বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং স্থানীয় দোকানে একই মডেলের ল্যাপটপের দাম তুলনা করুন। এটি আপনাকে একটি ভাল মূল্য ধারণা দিবে এবং সাশ্রয়ী বিকল্প খুঁজতে সাহায্য করবে।
  • বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন: বাংলাদেশে OLX, Bikroy.com এবং Daraz-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলি পুরাতন ল্যাপটপ কেনার জন্য ভালো। বিক্রেতার রিভিউ এবং রেটিং যাচাই করুন এবং তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করুন।

উপসংহার

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় বিষয়গুলো মনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে বাংলাদেশে। ল্যাপটপের অবস্থা, হার্ডওয়্যার স্পেসিফিকেশন, ব্যাটারি লাইফ, এবং বিক্রেতার বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করুন। স্থানীয় অভিজ্ঞতা এবং সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করলে, পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় প্রতিটি পদক্ষেপ আপনাকে সাশ্রয়ী মূল্যে একটি মানসম্মত পণ্য পেতে সাহায্য করবে এবং আপনার চাহিদা পূরণ করবে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)

১. আমি কীভাবে পুরাতন ল্যাপটপের সঠিক দাম নির্ধারণ করতে পারি?

পুরাতন ল্যাপটপের সঠিক দাম জানার জন্য বাংলাদেশের অনলাইন মার্কেটপ্লেস (যেমন Daraz, Bikroy, OLX) দেখে নিন। একই মডেলের ল্যাপটপের দাম বিভিন্ন সাইটে কত আছে তা যাচাই করুন। এছাড়াও, স্থানীয় কম্পিউটার দোকান বা রিসেলারদের কাছ থেকেও দাম জেনে নিন। ল্যাপটপের অবস্থা, ব্যবহারের সময়কাল, এবং মডেলের বয়স অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করুন।

২. পুরাতন ল্যাপটপের হার্ডওয়্যার কীভাবে পরীক্ষা করা যায়?

পুরাতন ল্যাপটপ চালিয়ে দেখে নিন কোনো সমস্যা আছে কিনা। পারফরম্যান্স চেক করার জন্য CPU-Z বা CrystalDiskInfo এর মতো সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। ব্যাটারি পরীক্ষা করতে BatteryMon বা BatteryInfoView সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। গ্রাফিক্স কার্ড পরীক্ষা করতে চাইলে গ্রাফিক্স টেস্টিং সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। এছাড়াও, বিভিন্ন কম্পিউটার সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে হার্ডওয়্যার পরীক্ষা করানো যেতে পারে।

৩. পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময় ওয়ারেন্টি দরকার হয় কি?

বাংলাদেশে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওয়ারেন্টি পাওয়া যায় না, তবে কিছু বিশ্বস্ত বিক্রেতা সীমিত সময়ের ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে। সাধারণত, ৩ থেকে ৬ মাসের ওয়ারেন্টি ভালো বলে বিবেচিত হয়। এটি থাকলে ল্যাপটপে কোনো সমস্যা হলে মেরামত বা প্রতিস্থাপন করতে সুবিধা হয়। নিশ্চিত করুন যে বিক্রেতার ওয়ারেন্টি শর্তগুলো আপনি ভালোভাবে পড়েছেন এবং বুঝেছেন।

৪. পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময় কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময় কিছু সাধারণ সমস্যা হতে পারে, যেমন ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে বা চার্জ ধরে রাখতে পারে না। হার্ডওয়্যার সমস্যা হতে পারে, যেমন প্রসেসর বা RAM ঠিকমতো কাজ না করা। ল্যাপটপের পোর্টগুলো ঠিকমতো কাজ নাও করতে পারে। নতুন অপারেটিং সিস্টেম বা সফটওয়্যার সাপোর্ট নাও পেতে পারে। এসব সমস্যা এড়াতে ল্যাপটপ কেনার আগে সম্পূর্ণরূপে পরীক্ষা করা উচিত।

৫. পুরাতন ল্যাপটপ কেনার জন্য কিভাবে নির্ভরযোগ্য বিক্রেতা খুঁজে পাবো?

বাংলাদেশে নির্ভরযোগ্য বিক্রেতা খুঁজতে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিক্রেতার রিভিউ এবং রেটিং দেখুন। বিশ্বস্ত স্থানীয় কম্পিউটার দোকান বা রিসেলারদের খুঁজে দেখুন। বিক্রেতার রিটার্ন পলিসি এবং ওয়ারেন্টি সম্পর্কে জানুন। ল্যাপটপের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বিক্রেতার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন। পরিচিত কারো সুপারিশও নিতে পারেন। সবশেষে, বিক্রেতার সাথে দরদাম করে আপনার পছন্দমতো ডিল নিশ্চিত করুন।

৬. ঢাকা ও চট্টগ্রামে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার জন্য সেরা স্থানগুলো কোথায়?

ঢাকা ও চট্টগ্রামে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার জন্য বেশ কিছু ভালো স্থান রয়েছে যেখানে মানসম্মত পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়। ঢাকায় ধানমন্ডি, নীলক্ষেত, এবং মালিবাগের কম্পিউটার মার্কেটসহ কম্পিউটার সিটি সেন্টার (মতিঝিল) এবং ইডেন কম্পিউটার মার্কেট (ইস্টার্ন প্লাজার পাশে) জনপ্রিয় স্থান। চট্টগ্রামে আগ্রাবাদ ও সিডিএ মার্কেটেও পুরাতন ল্যাপটপের ভালো সংগ্রহ পাওয়া যায়। এছাড়া, Bikroy.com এবং Facebook-এর স্থানীয় গ্রুপগুলিতেও পুরাতন ল্যাপটপ কেনা-বেচা হয়ে থাকে, যেখানে সঠিক যাচাই-বাছাই করে ভালো ডিল পেতে পারেন।